জমি/প্লট/বাড়ী/ফ্ল্যাট কিনতে/বেচতে এখানে ক্লিক করুন
Seller Logo

ফ্ল্যাট ক্রয় নাকি জমি ক্রয় - তুলনামূলক পর্যালোচনা

ফ্ল্যাট হচ্ছে অর্থের বিনিময়ে একটি বাড়ির নিদিষ্ট অংশের মালিকানা গ্রহণ করা কিন্তু ফ্ল্যাট কিনার মাধ্যমে ব্যাক্তি ঐ বাড়ি বা জমির মালিকানা অর্জন করে না। আর জমি কেনা হচ্ছে অর্থের বিনিময়ে একটি নিদিষ্ট ভূখণ্ড বা স্থানের মালিকানা গ্রহণ করা। বাংলাদেশে উচ্চবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত মানুষ জমির চেয়ে তাদের স্বপ্নের বাড়ি কিনতে পছন্দ করে কারণ এটি একটি ঝামেলা মুক্ত বিষয়। তাছাড়া ভালো এলাকায় জমি পাওয়া একটি কষ্টসাধ্য ব্যপার।

জমি ক্রয় বা ফ্ল্যাট ক্রয় ব্যক্তিগত চিন্তা ও আর্থিক অবস্থার উপর নির্ভর করে। বাড়ি কেনা মানে ইক্যুইটি ও সম্পদ বৃদ্ধি করা। এটি ভবিষ্যতের জন্য একটি বিনিয়োগ এবং এটি আপনার পরিবারের জন্যও নিরাপত্তার উৎস। সম্পত্তির মূল্য সাধারণত সময়ের সাথে সাথে বৃদ্ধি পায়। অতএব, এটি আপনার প্রকৃত মূল্য বৃদ্ধি করে এবং অবশেষে আপনার সঞ্চয় বৃদ্ধি করে। আমাদের অবশ্যই জানা উচিত, সম্পত্তি কেনা কখনই খারাপ বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নয়। অপরদিকে ফ্ল্যাট কিনলে অনেক ঝামেলা এড়ানো যায় এবং সরাসরি বসবাস করা যায় যা জমির ক্ষত্রে সম্ভব না।

মানসিক অবস্থা
জমি কেনা সত্যিই একটি বড় খরচ। কিন্তু যখন আপনি একটি জায়গার মালিক হন তখন এটি একটি মানসিক প্রশান্তি তৈরি করে আপনারা মনে। আপনি আপনার প্রিয়জনদের সাথে সারা জীবন এখানে থাকার স্বপ্ন দেখেন।

ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করা কোনো জায়গার সঙ্গে আন্তরিক সংযুক্তি তৈরি করতে পারে না কিন্তু কিছু লোকের জন্য বিষয়টি তেমন বড় ব্যপার না। তাই তারা জমির থেকে ফ্ল্যাটকে বেশি অগ্রাধিকার দেয়।

সঞ্চয়ের ক্ষেত্র
জমি ক্রয়ের ক্ষেত্রে, ব্যবহারকারী একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করে। কোন রক্ষণাবেক্ষণ খরচ বা মেরামতের বিল নেই। কিন্তু বাড়ির মালিক সাধারণত রক্ষণাবেক্ষণ বিল এবং অন্যান্য লুকানো খরচ বহন করেন।

মালিকানার ক্ষেত্রে, আপনার অবশ্যই রক্ষণাবেক্ষণ খরচ আছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত, খরচ হ্রাস পায় এবং আপনি এই বিকল্পের পাশাপাশি ভাড়াও দেন না। কিন্তু আমরা জানি যে জমি ক্রয় সাধারণত যুক্তিসঙ্গত যা আপনাকে আরও সঞ্চয় করতে অনুপ্রাণিত করে।

প্রকৃত মূল্য
যখন আপনি একটি জমি ক্রয় করেন তখন আপনি ঐ স্থানের চিরস্থায়ী মালিক হন। যা এককালিন বড় অংকের অর্থের মাধ্যমে কিনা যায় এবং অানুসাংগিক কিছু খরচ বহন করতে হয়। ফ্ল্যাট কিনার সময় আপনাকে প্রথমে একটি ছোট অগ্রিম দিতে হবে এবং তারপর মাসিক ভাড়া ফি দিতে হবে পরিষেবা খরচ হিসেবে।

এটি বেশ সাশ্রয়ী মূল্যের বিকল্প। কিন্তু একটি বাড়ির মালিক হওয়ার মাধ্যমে আপনি কেবল ভাড়ার খরচ এড়াতে পারবেন না। অপরদিকে জমি ক্রয় আয়ের উৎসও হতে পারে করন জমির দাম সব সময় বৃদ্ধি পায়। এটি নিরাপদ আয়ের উৎস হতে পারে। বিভিন্ন বিকল্প থেকে বেছে নিয়ে আপনি ফ্ল্যাট কিনতে যা সহজলভ্য জমি ক্রয় থেকে।

অবস্থান নির্বাচন
সাধারণত একজন ব্যাক্তি এমন একটি স্থানে বসবাস করতে চায় যেখান থেকে সহজে সে তার প্রয়োজনীয় যায়গায় যেমন অফিস,বাজার,শপিং সেন্টার, স্কুল কলেজ, উপসানালয় যেতে পারবে।

এক্ষেত্রে এসব সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করে এমন স্থানে জমি পাওয়া খুবই কষ্ট সাধ্য কাজ। অপরদিকে ঢাকার যে কোনো এলাকায় সম্পূর্ণ তৈরি ফ্ল্যাট অনেক রয়েছে যা বিভিন্ন দামে এবং পরিমাপে পাওয়া যাচ্ছে।

রক্ষণাবেক্ষণ খরচ
জমি ক্রয় করলে তা দেখাশোনার জন্য আলাদা খরচ বহন করতে হয় না অপরদিকে একটি ফ্ল্যাটের জন্য প্রতি মাসে কিছু খরচ বহন করতে হয়।

পরিশেষ
বাংলাদেশে, মধ্যবিত্তের আয়ের জনগনের ক্রমবর্ধমান আয়ের কারণে এবং আবাসন প্রকল্পের সহজিকরণের কারণেও ফ্ল্যাটের মালিক হওয়ার হার দিন দিন বাড়ছে। কিন্তু একটি দক্ষ বিকল্প হিসেবে জমি ক্রয় করা অনেকের পছন্দ হতে পারে।

উভয়েরই কিছু সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে। দিন শেষে, এটি ব্যক্তিগত পছন্দ, চিন্তা -ভাবনা এবং আর্থিক অবস্থার উপর নির্ভর করে।