জমি/প্লট/বাড়ী/ফ্ল্যাট কিনতে/বেচতে এখানে ক্লিক করুন
Seller Logo

উত্তরাধিকার বা ওয়ারিশের প্রাপ্য

সকল দায়-দেনা পরিশোধ ও আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার পর মৃত ব্যক্তির সম্পত্তিতে তার সন্তানাদি ও আত্মীয়-স্বজনের যে অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয় তাই উত্তরাধিকার। ফারায়েজ বা মুসলিম উত্তরাধিকার আইনঅনুযায়ী উত্তরাধিকার ৩ শ্রেণীর- নিকটাত্মীয় অংশীদার (যাবিল ফুরুজ), অবশিষ্টাংশ ভোগী (আসাবা) এবং দূরবর্তী আত্মীয়বর্গ (যাবিল আরহাম)। মুসলিম উত্তরাধিকার আইনে নিচের ৬ জন কোনঅবস্থায়ইউত্তরাধিকার হতে বঞ্চিত হন না-
১) পিতা, ২) মাতা, ৩) ছেলে, ৪) মেয়ে, ৫) স্বামী, ৬) স্ত্রী
উল্লেখ্য, স্বামীর অবর্তমানে স্ত্রী এবং স্ত্রীর অবর্তমানে স্বামী সম্পত্তি পাবেন।
নিকটাত্মীয় অংশীদার (যাবিল ফুরুজ)
যে উত্তরাধিকারীদের অংশ আল কোরআনে সুনির্দিষ্ট রয়েছে তারাই নিকটাত্মীয় অংশীদার। এ শ্রেণীর অংশীদারগণ অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি প্রাপ্য হয়। মুসলিম উত্তরাধিকার আইনে মোট ১২জননিকটাত্মীয় অংশীদার আছেন। তাদের ৪ জন পুরুষ এবং ৮ জন নারী। পুরুষ অংশীদারগণ হলেন-পিতা, স্বামী, পুত্র ও দাদা (ঊর্ধ্বক্রমের সকলে)
এবং নারী অংশীদার হলেন- মাতা, স্ত্রী, কন্যা, পুত্রের কন্যা, দাদী বা নানী, আপন বোন, বৈমাত্রেয় বোনও বৈপিত্রেয় বোন।
অবশিষ্টাংশভোগী (আসাবা)
কোরআনে নির্দিষ্ট অংশীদারদের সম্পত্তিবন্টনের পর মৃতের সাথে যাদের রক্তের সম্পর্ক রয়েছে এবং অবশিষ্ট সম্পত্তিতেযাদের অধিকার রয়েছে তারাই অবশিষ্টাংশভোগী।
দূরবর্তী আত্মীয়বর্গ (জাবিল আরহাম)
যাদের সাথে মৃতের রক্তের সম্পর্ক রয়েছেকিন্তু তারা নিকটাত্মীয় অংশীদার বা অবশিষ্টাংশভোগী নয় তারাই মৃতের দূরবর্তীআত্মীয়বর্গ। যদি মৃতের নিকটাত্মীয় অংশীদার এবংঅবশিষ্টাংশভোগী উত্তরাধিকার নাথাকে তাহলেই কেবল মৃতের দূরবর্তী আত্মীয়বর্গ সম্পত্তি পাবেন। • ফারায়েজের সাধারণ নিয়মঃ
১. প্রত্যেক পুত্র প্রত্যেক কন্যার দ্বিগুন পাবে। অর্থাৎ ভাই পাবে বোনের দ্বিগুন;
২. যদি পুত্র না থাকে এবং মাত্র এক কন্যা থাকে তাহলে কন্যা সম্পূর্ণ সম্পত্তির ১/২ অংশ পাবে। আর একাধিক কন্যা থাকলে সকল কন্যা মিলিতভাবে ২/৩ অংশ পাবে;
৩. সন্তান থাকলে স্ত্রী স্বামীর সম্পত্তির ১/৮ অংশ এবং নিঃসন্তান থাকলে ১/৪ অংশ পাবে;
৪. সন্তান থাকলে স্বামী স্ত্রীর সম্পত্তির ১/৪ অংশ পাবে;
৫. পুত্র থাকলে মৃত ব্যক্তির ভাই বা বোন ওয়ারিশ হয় না;
৬. পুত্র, কন্যা বা ভাই-বোন না থাকলে দূরবর্তী জ্ঞাতিগণ ওয়ারিশ হয়।
• মৃত ব্যক্তির পিতা উত্তরাধিকার লাভে তিন অবস্থায় পড়তে পারেনঃ
ক. মৃত ব্যক্তির কোন পুত্র বা পুত্রের পুত্র, যত নিম্নক্রমেরই হোক, থাকলে বাবা ছয় ভাগের এক ভাগ (১/৬) পাবেন;
খ. যে ক্ষেত্রে পুত্র, পুত্রের পুত্র ইত্যাদি নেই কিন্তু কন্যা, পুত্রের কন্যা ইত্যাদি রয়েছে সেক্ষেত্রেও পিতা ছয় ভাগের এক ভাগ (১/৬) পাবেন;
গ. মৃত ব্যক্তির কোন সন্তানাদি না থাকলে অন্যান্য অংশীদারদের দেয়ার পর অবশিষ্ট সমস্ত সম্পত্তি পিতা পাবেন।
• মৃত ব্যক্তির মাতা তিনভাবে উত্তরাধিকার লাভ করতে পারেনঃ
ক. মৃত ব্যক্তির সন্তানাদি থাকলে মাতা ছয় ভাগের এক ভাগ (১/৬) পাবেন;