জমি/প্লট/বাড়ী/ফ্ল্যাট কিনতে/বেচতে এখানে ক্লিক করুন
Seller Logo

ফ্ল্যাট কেন কিনবেন? ফ্ল্যাট এর সুবিধা ও অসুবিধা

ফ্ল্যাট কেন কিনবেন?
অন্ন, বস্ত্র ও বাসস্থান নাগরিকের মৌলিক অধিকার হলেও বাসস্থান নিয়ে সবার ভাবনা একটু বেশি। কেননা সাধ্যের মধ্যে গোছানো একটি বাসস্থান পেলে বড় ধরনের এক প্রাপ্তি বলেই ধরে নেওয়া হয়। তাই একবিংশ শতাব্দীর শুরুতে মানুষ জায়গা কিনে বাড়ি না করে ফ্ল্যাট কিনতে আগ্রহী হয়ে ওঠে। একটি ফ্ল্যাট কেনা শুধুমাত্র আবাসন চাহিদার ব্যবস্থা করাই নয় ভবিষ্যতের জন্য একটি খুঁটির ব্যবস্থা করাও বটে।

স্বল্প পুঁজি ব্যয় করে আবাসন চাহিদা মিটানোর সহজ মাধ্যম হল ফ্ল্যাট ক্রয় করা। ফ্ল্যাট ক্রয় ভবিষ্যতের জন্য একটি ভালো সঞ্চয় মাধ্যম হতে পারে। ফ্ল্যাট ক্রয় করতে অল্প পুজির প্রয়োজন হয়। ফ্ল্যাট ক্রয় করে সুন্দর করে মনের মত সাজিয়ে বসবাস করা যেতে পারে। ফ্লাট এর ক্ষেত্রে প্রতিমাসের ছোট্ট একটি আনুষাঙ্গিক খরচ থাকে। তাই জীবনধারণ করতে খুব একটা বেগ পেতে হয়না। তাই ফ্ল্যাট ক্রয় ভালো সিদ্ধান্ত হতে পারে। ফ্ল্যেটের কিছু সুবিধা – অসুবিধা নীচে আলোচনা করার চেষ্টা করছি

সুবিধা
• যাঁরা কিছুটা আয়েশি ধরনের তাঁদের জন্য ফ্ল্যাটই আদর্শ।
• বাড়ি করা সংক্রান্ত কোনও রকম ঝামেলার অবকাশ থাকে না।
• বাজারে গিয়ে জিনিস কেনার মতো ফ্ল্যাটও কেনা সম্ভব। আবার এককালীন টাকার স্বল্পতায় কিস্তিতে কেনাও সম্ভব। সহজে ব্যাংক লোন পাওয়া।
• চাইলে রেডী ফ্ল্যাট কিনে ভাড়া দেয়া যায় বলে দ্রুত আয়ের সুযোগ রয়েছে।
• ফ্ল্যাট কেনার পূর্বেই ধারনা পাওয়া যায় কিনতে কত টাকা খরচ হবে ফলে সেভাবে অর্থনৈতিক প্রস্তুতি গ্রহন করা যায়।
• ফ্ল্যাট মোটামুটি এমন অঞ্চলে অবস্থিত হয় যেখান থেকে যাতায়াত করা বা অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা, যেমন, স্কুল, কলেজ, বাজার, হাসপাতাল ইত্যাদি ভাল ভাবে পাওয়ার সুযোগ থাকে।
• আজকাল বহু ফ্ল্যাটে শরীরচর্চা (জিম), ইনডোর গেমস, স্যুইমিং পুল ইত্যাদির ব্যবস্থা থাকায় এই সব কাজে বাইরে যেতে হয় না।
• কমিউনিটি হল থাকায় কোনও অনুষ্ঠানে বাইরে হল ভাড়া করার প্রয়োজন হয় না।
• ফ্ল্যাট সংক্রান্ত যে কোনও কাজে অন্যদের সাহায্য পাওয়া যায়।
• আবাসিকদের নিজস্ব কমিটি রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করে বলে দায়িত্ব ভাগাভাগি হয়ে যায়।
• নানাবিধ মানুষের সঙ্গে বসবাসের একটি বাড়তি সুবিধে থাকে।
• বয়স্ক মানুষেরা সঙ্গী পেয়ে যান।
• ছোটদের খেলার সাথী মেলে।
• নিরাপত্তারক্ষী থাকায় সুরক্ষার দিকটি উপেক্ষিত থাকে না।
• অনেক আবাসনে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়, যা দৈনন্দিনতার একঘেয়েমি থেকে মুক্তি দেয়।

অসুবিধা
• কিছুটা হলেও ফ্ল্যাট জীবনে স্বাধীনতা বিপন্ন হয়।
• একটু বাগান করা বা ফুল গাছ লাগানোর ইচ্ছে হলেও তা সম্ভব হয় না।
• হাত-পা ছড়িয়ে থাকার সুখ মেলে না।
• যৌথজীবন কাটাতে হয় বলে নিজের খেয়াল খুশিতে অনেক কিছুই করা যায় না। ফ্ল্যাটের প্রকৌশল কাঠামো যতই সুউচ্চ বা বহিরাঙ্গের নির্মাণশৈলী বাহারি হোক না কেন এর ভেতরটা বড়ই লঘু এবং শতধাভাগে বিভক্ত। এ বিভক্তির পেছনে রয়েছে মূলত ভাবস্বীকৃতি বা আধিপত্য বিস্তারের মনোবাসনা।
• ফ্ল্যাটে অনেক বাসিন্দা নিজেরা বসবাস করেন না। দীর্ঘদিন তালাবন্ধ ও মালিক দূরে থাকার জন্য নিয়মিত মাসিক আদায়ে বেশ অসুবিধাই হয়।ফলে ঝাড়ুদার, কেয়ার টেকার এই সমস্ত বাবদ মাসিক খরচগুলি বাদবাকি (বর্তমান) বাসিন্দাদের বাধ্য হয়ে বহন করতে হয়।এটি একটি গুরুতর সমস্যা।
• আর যদি কেয়ার টেকার না থাকে , তবে বাসিন্দাদের সহযোগিতা ছাড়া এই সমস্ত ফ্ল্যাটের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়।
• এ ছাড়া কমন স্পেস ব্যবহারের ক্ষেত্রেও অনেকে যথেচ্ছাচার করেন । এ নিয়ে নৈমিত্তিক বিবাদ অনেক ক্ষেত্রে তিক্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি করে

জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই তিটি জিনিসেরই সুবিধার সাথে অসুবিধা থাকেই। এরপরেও সিদ্ধান্ত নিতে হয় নিজের প্রয়োজন এবং সামর্থ্য অনুযায়ী।